যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে "কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব" কার্যক্রমে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে। যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন "কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব" কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার্থে বৃত্তি প্রদান, প্রতি বছর ব্যাংকের নির্বাহী, কমর্কতা ও কর্মচারীদের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, ক্বিরাত প্রতিযোগিতা, বিনামূল্যে চক্ষু শিবির, ভ্রাম্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্থ ও বিপন্ন মানুষের জন্য ত্রান সহায়তা, হত-দরিদ্রদের শীত নিবারণের জন্য কম্বল বিতরণ, বিশিষ্ট নাগরিকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান, বৃদ্ধ নিবাস প্রতিষ্ঠা, প্রতিবছর মাদকবিরোধী দিবসে (জুন ২৬) মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার, প্রতি বছর প্রত্যেক বিভাগে ব্যাংকের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে মাদকমুক্ত সমাজ গঠণে আমাদের করণীয় বিষয়ক সেমিনার আয়োজন, মাদকাসক্তদের নিরাময়কল্পে ঢাকার মিরপুরে নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, পিলখানা বিডিআর হত্যা ট্রাডেজীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে অনুদান, নিমতলী অগ্নিকান্ডে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর প্রতিষ্ঠায় অনুদান, যমুনা ব্যাংক ফ্রি প্রাইমারী স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, বিশ্ব ইজতেমা, টঙ্গীতে মেডিকেল টীমের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিঃ কে খেলাধুলায় উন্নতিপ্রকল্পে আর্থিক অনুদান, ১১তম এসএ গেমস এ আর্থিক অনুদান ইত্যাদি। এছাড়া যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিদেশী (নেদারল্যান্ড) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল কর্তৃক দেশের বিভিন্ন জেলায় গরীব ঠোঁট কাটা, তালু কাটা রোগীদের প্লাষ্টিক সার্জারীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। "কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব" কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন ঠাকুরগাঁও জেলার সিনাপাড়া নামক একটি অজ পাড়া-গাঁ কে "মডেল ভিলেজ" এ রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়াও যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার অন্তর্গত চর তেরটাকিয়া গ্রামটিকে সোলার ভিলেজে রূপান্তরিত করা হয়েছে। চর তেরটাকিয়া গ্রামটি প্রত্যন্ত চরাঞ্চল এবং অজ পাড়া-গাঁ যেখানে বৈদ্যুতিক আলো নেই, কেরোসিনের অভাবে সেই গ্রামের অনেক গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থী রাতে লেখাপড়া করতে পারে না। এ গ্রামের প্রতিটি পরিবারকে আমরা সৌর বাতির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখন থেকে ঐ গ্রামের শিক্ষার্থীরা রাতের বেলায় সৌর বাতিতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে, গ্রামবাসীরা নির্বিঘ্নে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে রাতের কাজগুলো করতে পারবে। ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জে একটি আধুনিক এবং বিশ্বমানের হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন এর লক্ষ্যে জায়গা ক্রয় করে ভিত্তি ফলক উম্মোচন করা হয়েছে যেখানে গরীব রোগীদের বিনামূল্যে/স্বল্প খরচে চিকিৎসা দেয়া হবে এবং গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যবস্থা থাকবে। পঙ্গু ও মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসনের উদ্দ্যেশ্যে আয় উৎসারী সামগ্রী যথা সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়ী, রিকসা ইত্যাদি প্রদান করা হবে।
আমাদের আরও অনেক মহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সংগতি বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে এগুলো বাসত্মবায়ন করা হবে ইনশা’ল্লাহ। আমরা মনে করি যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমগুলি ব্যতিক্রমধর্মী এবং দৃষ্টানত্মমূলক যা অন্যদের জন্য অনুসরণীয়।
এ সব দৃষ্টান্ত যদি দেশের বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করে তাহলে আমাদের বিশ্বাস দেশে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বিশেষভাবে উপকৃত হবে এবং আমাদের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।
আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন